বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি॥ সারাদেশের ন্যায় বরিশাল জেলার সকল নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিনিয়ত ছোট-বড় নদী ভাঙন হচ্ছে। এ ভাঙনে শ্রীপুরের কালাবদর নদী সংলগ্ন জৈনপুরী বড় পীর সাহেবের মসজিদ, মাদ্রাসা ও খানকা বিলীন হতে চলেছে। ইতোমধ্যে রাস্তা, বসতবাড়ি, দোকানপাট, ফসলি জমি ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের ভয়ে অনেকেই বাড়িঘর ও দোকানপাট অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন নদী ভাঙনের এ খবর শোনার পর জৈনপুরী বড় হুজুর স্থানীয় সকলের সাথে যোগাযোগ রাখছেন।
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ ১৪ নং শ্রীপুর ইউনিয়নে ভারতের জৈনপুরী বড় পীর সাহেব এর খানকা ও মসজিদ অবস্থিত। ভারত থেকে যখনই তিনি বাংলাদেশে আসেন তখন তিনি ওই খানকায় অবস্থান করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু ক্রমাগত নদীর পানি বৃদ্ধি ও ভাঙনের ফলে ঐতিহ্যবাহী জৈনপুরী বড় পীর সাহেবের মসজিদ, মাদ্রাসা ও খানকা নদীভাঙনের মুখে পড়েছে। যে কোন সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।
তারা আরো জানান, স্থানীয় সাখাওয়াত হোসেন রুবেল কাজী জৈনপুরী হুজুরের সাথে যোগাযোগ করে ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে পরামর্শ করে মসজিদ, মাদ্রাসা এবং খানকা মহিষমারিতে দ্রুত স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জৈনপুরী বড় হুজুর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মোঃ সাইফুল হাফিজ সিদ্দিকীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে এটি আমাদের প্রধান খানকা। বিগত ২৪ বছর যাবত এই খানকায়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এবং এ বছরে ৭৩ তম দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু নদী ভাঙ্গন খুব কাছাকাছি চলে আসায় মসজিদ, মাদ্রাসা ও খানকাটি জরুরী অন্যত্র স্থানান্তর করার জন্য এলাকাবাসীসহ সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য”।
এলাকাবাসী জানান, শ্রীপুরের কালা বদর নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখনই ভাঙন প্রতিরোধ করা না হলে এ এলাকার শত শত মানুষ ভিটে-মাটি হারা হবে ও ফসলি জমি নদীর পানিতে ডুবে যাবে বলে আশংকা তাদের।
Leave a Reply